কিভাবে ভাইভার প্রস্তুতি নিবেনঃ চাকরির ভাইভা টিপস
Table of Contents
কিভাবে যে কোন ভাইভা বোর্ডের জন্য প্রস্তুতি নিবো- প্রয়োজনীয় টিপস
চাকরির জন্য ভাইভা বোর্ড হচ্ছে একদম শেষের ধাপ । এই ধাপ ভালোভাবেঅতিক্রম করলেই আপনার চাকরী নিশ্চিত । ভাইভা বোর্ডে যারা থাকেন, তারা আপনাকে খুব ভালোভাবে যাচাই করে নিবে এই ধাপে । তাই চাকরি পেতে হলে আপনাকে হতে হবে একটু কৌশলী । নিজেকে ভাইভা বোর্ডের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে করে আপনি তাদের যোগ্য চাকরি পার্থি এটা তারা বুঝতে পারে ।
আমরা এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাইভা টিপস তুলে ধরেছি ।
গুরুত্বপূর্ণ ভাইভা প্রস্ততি টিপস
১। পোশাক যতটা পারা যায় মার্জিত হতে হবে। প্রতি ভাইবাতে পোশাকে একটা মার্কস থাকে, তবে পোশাকই শেষ কথা নয়।
২। ভাইবায় কোন নেতিবাচক কথা বলা যাবে না। এমনকি পূর্বের প্রতিষ্ঠানে নেতিবাচক কিছু থাকলেও সেটি বলা যাবে না।
৩। আগের চাকরি কেন ছাড়তে চান, প্রশ্নের জবাবে বলতে হবে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে আগের চাকরি ছাড়তে চাই বলতে হবে।
৪। সততা বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন জানতে চাইলে নিজস্ব মতামত থেকে গুছিয়ে উত্তর দিতে হবে। মুখস্থ উত্তর বললে ভাইবা বোর্ড তা নেতিবাচকভাবে নিবে।
৫। মুহুর্তে যখন ভাইবা বোর্ড আপনাকে সিলেক্ট করার মুটামুটি সিদ্ধান্ত নেয়, তখন প্রশ্ন করে দূরে কোথাও পোস্টিং দিলে যাবেন কিনা। এর যদি আপনি নেতিবাচক উত্তর দেন, তবে আপনার চাকরির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
৬। ভাইবা আসলে আপনার জ্ঞানের পরীক্ষা নয়। প্রিলি, রিটেন পরীক্ষার মাধ্যমেই আপনার মেধার যাচাই হয়েছে, তাই এখানে দেখা হয় আপনার কমনসেন্স কেমন ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপযুক্ত উত্তর দিতে পারে কিনা। মূলকথা আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেখে।
৭। যতগুলো ভাইবা বোর্ড থাকুক না কেন, A বোর্ডে থাকবে সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কমকর্তা। তাই সে বোর্ডকে সন্তুষ্ট করতে পারলে আপনার চাকরি নিশ্চিত।
৮। ভাইবায় উত্তর খুব বেশি বড় করবেন না। সরাসরি উত্তর বলবেন। উত্তর না জেনে উত্তর বড় করার চেষ্টা করলে তারা আপনার প্রতি দারুণ অসন্তুষ্ট হবে।
৯। ভাইবা বোর্ডে ঢোকার আগে ও চেয়ারে বসার আগে স্যারদের অনুমতি নিবেন। চেয়ার টেনে বসবেন না।
১০। যে স্যার যে প্রশ্নটি করবে, সে স্যারকে সে উত্তরটি তার দিকে তাকিয়ে দিবেন।
১১। ভাইবা বোর্ডে কথা বলার সময় কিছুটা ঝুঁকে কথা বলবেন যাতে তারা বুঝতে পারে আপনি তাদের কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনছেন। তবে অধিক ঝুঁকবেন না।
১২। ভাইবা বোর্ডের সাথে কোন ব্যাপারে তর্ক করবেন না। কোন ব্যাপারে একমত না হলে বিনয়ের সাথে বলবেন।
১৩। কথা বলার সময় মুখে হালকা হাসি হাসি ভাব রাখবেন, তবে তা যেন বোকার মতো না হয়।
১৪। স্যারদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন, যাতে দুজনের মাঝে আস্থাশীল সম্পর্ক তৈরি হয়।
১৫। কোন উত্তর মুখস্থ করে যাবেন না, জ্ঞানের গভীরতা থেকে বলবেন।
১৬। পা ঝাঁকানো বা একই শব্দ বার বার বলার মতো মুদ্রাদোষ পরিহার করতে হবে।
১৭। ৩টি গুণের কথা জানতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় গুণের কথা বলতে হবে।
১৮। ৩ টি দোষের কথা বলতে বললে সরাসরি নিজের ৩টি দোষ সরাসরি বলবেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জন্য বাঁধা হতে পারে এমন দোষের কথা ভুলেও বলা যাবে না।
১৯। কত বেতন চান বললে পদ অনুযায়ী বেতনের কথা বলবেন। সবচেয়ে ভালো হয় ভাইবা দেয়া পদে কত বেতন হবে, অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে তা জেনে যাবেন। যা বেতন দিবেন, তাতেই খুশি- এ কথা বলা যাবে না।
২০। ভাইবায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট, কাজ, ইতিহাস সম্পর্কে জেনে যাবেন।