পদার্থ

মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য, কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হল?

মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য (Mystery of Creation of the Universe)

আদিকাল থেকেই মানুষ মহাবিশ্ব ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে নানা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে, এখনাে তবু মহাবিশ্ব ও এর সৃষ্টি রহস্যের অনেক কিছুই মানুষের অজানা।

মহাবিশ্ব বলতে কি বোঝায় কি?

সকল পদার্থ, শক্তি ও স্থান অর্থাৎ যা কিছুর অস্তিত্ব আছে তাদের সবকিছু নিয়েই মহাবিশ্ব।  অন্য কথায়, অগণিত নক্ষত্ররাজ্য, ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি অনন্ত মহাকাশে ছড়ানাে পদার্থ, শক্তি এইসব মিলিয়ে যে বস্তুজগৎ তারই নাম মহাবিশ্ব। অনুমান করা হয় যে, মহাবিশ্বে 10 সংখ্যক ছায়াপথ আছে। মহাবিশ্বের প্রকৃতি , উৎস ও বিবর্তন নিয়ে যে পর্যালােচনা তাকে বলা হয় সৃষ্টিতত্ত্ব (cosmology)

মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত তার মধ্যে নিচের কয়েকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

  1. মহাবিস্ফোরন তত্ত্ব (Big-bang theory)
  2. সম্প্রসারণ তত্ত্ব (Expanding universe theory)
  3. স্পন্দনশীল তত্ত্ব (Pulsating theory)
  4. অবিচল অবস্থা (Steady state theory)

 

মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব (Big-bang theory) কি?

মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব : এই তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন বিজ্ঞানী জর্জ লেমিটার (George Lermaitre)। তার তত্ত্ব মতে 20 বিলিয়ন বছর পূর্বে অনুমান করা হয় মহাবিশ্বের ভর ছিল 10kg। এই ভর মূলত একটি অতি উত্তপ্ত ( 102K) তাপমাত্রায় একটি অতি ঘন আগুনের গােলক হিসাবে ছিল। এই গােলকের ব্যাসার্ধ ছিল সূর্যের প্রায় দশগুণ। সুতরাং-মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন গােলক এবং এর ঘনত্ব ছিল 1021kgm-3। বিশ বিলিয়ন (20 x 109) বছর পূর্বে এক মহাবিস্ফোরণ ঘটে। ফলে অগ্নিগােলকটি অসংখ্য টুকরায় বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি ও নক্ষত্ররূপে অতি উচ্চ বেগে সকল দিকে ছড়িয়ে পড়ে। জজ লেমিটার এই তত্ত্ব প্রদান করেন এবং এর Big-bang নামটি জর্জ গ্যামাের (George Gamow) দেওয়া।

সম্প্রসারণ তত্ত্ব (Expanding universe theory) কি?

সম্প্রসারণ তত্ব : এই তত্ত্ব মতে সকল গ্যালাক্সি পৃথিবী থেকে দূরে সরে যেতে থাকবে এবং আমরা একটি শূন্য বা খালি মহাবিশ্ব পাব। এর কারণ হলাে মহাবিশ্বের ধারাবাহিক বা অবিরত প্রসারণের ফলে অনেক অনেক গ্যালাক্সি মহাবিশ্বের সীমানার বাইরে চলে যাবে এবং হারিয়ে যাবে।

 

স্পন্দনশীল তত্ত্ব (Pulsating theory) কি?

স্পন্দনশীল তত্ত্ব : এই তত্ত্বের মতে মহাবিশ্ব অনির্দিষ্টভাবে প্রসারিত হতে পারে না। একটি নির্দিষ্ট অবস্থার পর মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কারণে এই প্রসারণ থেমে যাবে এবং মহাবিশ্ব পুনরায় সঙ্কুচিত হয়ে আসবে। সঙ্কুচিত হয়ে মহাবিশ্ব একটি সংকট আকারে পৌছালে এটা পুনরায় বিস্ফোরিত হবে এবং নতুন করে প্রসারণ ও তারকার সঙ্কোচন ঘটবে। ফলে মহাবিশ্বের সীমা একবার বড় ও একবার ছােট হয়ে অর্থাৎ সীমানা স্পন্দিত হবে, এজন্য কখনাে কখনাে একে স্পন্দনশীল মহাবিশ্ব বলা হয়। এ তত্ত্বের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে, ৪ x 10 বছর পরপর মহাবিশ্বের প্রসারণ ও সঙ্কোচন ঘটে।

See also  রাদারফোর্ড তাঁর পরীক্ষায় আলফা কণা ও ZnS ব্যবহার করার কারন

 

অবিচল অবস্থা (Steady state theory) কি?

অবিচল অবস্থা তত্ত্ব : এই তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন জ্যোতিািনী পােন্ড, বন্ড ও ফ্রেড হােয়েল। এই তত্ত্বের মতে মহাবিশ্ব একটি অবিচল বা স্থির অবস্থায় পৌছে গেছে এবং সকল স্থান থেকে সকলের নিকট একই রকম দেখায় । মহাবিশ্বের মােট গ্যালাক্তির সংখ্যাও একটি স্থির অবস্থায় পৌঁছেছে। মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণযােগ্য অংশ থেকে যদিও কিছু গ্যালাক্তি হারিয়ে যাচ্ছে, নতুন গ্যালাক্সি তৈরি হয়ে গ্যালাক্সির সংখ্যা সমান করছে। অবিচল অবস্থা তত্ত্ব, যাকে অবিরত তৈরি তত্ত্বও বলা হয়। এর ভিত্তি হলাে পদার্থ ও শক্তির আন্তঃরূপান্তর।

 

মহাবিশ্বের মূলবস্তু ও ঘটনা

মহাবিশ্বের মৌলিক উপাদান তিনটি তা হলাে।

    1. সৌরজগৎ (Solar System)
    2. নক্ষত্রসমূহ (Stars)
    3. গ্যালাক্সিসমূহ (Galaxes)

 

সৌরজগৎ (Solar System) কলতে কি বোঝায়?

সৌরজগৎ (Solar System) : সূর্য ও এর গ্রহ ও উপগ্রহ, ধূমকেতু, উল্কা, গ্রহাণু, গ্যাস, ধূলিকণা ইত্যাদি নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্র। সূর্যকে কেন্দ্র করে এর আটটি গ্রহ ঘুরছে। এই আটটি গ্রহ হলাে বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। সকল গ্রহই সূর্যের চারদিকে উপবৃত্তাকার (elliptical) পথে ঘুরছে। কিছু গ্রহের রয়েছে উপগ্রহ। এগুলাে গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। বুধ ও শুক্রের কোনাে উপগ্রহ নেই। মহাবিশ্বের সৃষ্টি

পৃথিবীর রয়েছে একটি, মঙ্গল ও নেপচুনের প্রত্যেকের দুটি, ইউরেনাসের পাঁচটি, শনির দশটি এবং বৃহস্পতির রয়েছে ১২টি উপগ্রহ। এসব উপগ্রহকে গ্রহের চাঁদ বলা হয়। সৌরজগতে একমাত্র সূর্যেরই আলাে আছে, অন্য কোনােটির নেই। সূর্যের আললা পড়ে সৌরজগতের গ্রহ ও উপগ্রহ আলােকিত হয়। এছাড়া সৌরজগতে রয়েছে অনিয়মিত আকারের হাজার হাজার বস্তু। এরা হলাে উল্কা, ধূমকেতু, গ্রহাণু,

 

(1) সূর্য (The Sun)

সূর্য (The Sun): সূর্য গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা তৈরি একটি অতিমাত্রায় গরম ও উজ্জ্বল বস্তু। এটি সৌরজগতের পীতবর্ণ সম্পন্ন নক্ষত্র এবং পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র। তাই একে অন্য নক্ষত্রের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল দেখায়। পৃথিবী থেকে সূর্য আট আলােক মিনিট দূরে। সূর্য হতে পৃথিবীতে আলাে আসতে ৮ মিনিট সময় লাগে। এর পৃষ্ঠ তাপমাত্রা 6000 K। এর ভর 1.99x100kg। গড় ব্যাসার্ধ 6.95 x 108m। সূর্য পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে 1.496 x 1ol’ m দূরত্বে অবস্থিত। এর ঘনত্ব 1410 kgm- যা পানির তুলনায় প্রায় 1.4 গুণ। সূর্য তার নিজ অক্ষের উপর 25 দিনে একবার ঘুরে আসে। সূর্যের পৃষ্ঠে তার আকর্ষণের জন্য ত্বরণের মান 275 ms-2 হিসাব করা হয়েছে। এটি রেডিও বা বেতার অঞ্চলে তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ নিঃসরণ করে। 

 

(2) গ্রহ ( The Planets)

See also  জড়তার ভ্রামক এবং টর্ক এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

গ্রহ ( The Planets) : আমরা জানি যে সকল নিরেট খ-গােলীয় বস্তু সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে তাদেরকে গ্রহ বলা হয়। গ্রহগুলাে সূর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ভ্রমণ করে। তাদের নিজস্ব কোনাে আলাে নেই। কিছু গ্রহকে কেন্দ্র করে আবর্তনশীল উপগ্রহ আছে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হচ্ছে চন্দ্র। এটি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে। বুধ ও শুক্র গ্রহের কোনাে উপগ্রহ নেই। মঙ্গল এবং নেপচুন গ্রহের দুটি করে উপগ্রহ আছে। শনি গ্রহের দশটি এবং বৃহস্পতি গ্রহের বারােটি উপগ্রহ আছে। উপগ্রহগুলােকে গ্রহের চন্দ্র বলা হয়। মহাবিশ্বের সৃষ্টি

গ্রহ সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলাে।

গ্রহ সম্পর্কিত কিছু তথ্য

Its motion is from east to west Reverse of the motion of other planets

 

(3) গ্রহাণুপুঞ্জ (Asteroids)

গ্রহাণুপুঞ্জ (Asteroids): মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মাঝ দিয়ে অতিক্ষুদ্র গ্রহের মতাে কিছু বস্তু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে; তাদের বলা হয় গ্রহাণু। গ্রহাণু আবিষ্কারের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় 2000 গ্রহাণুপু আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের বৃহহটির নাম সেরেস।  এর ব্যাসার্ধ 350 km এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় 4.6 বছর। ক্ষুদ্রতমটির ব্যাসার্ধ 50 m।

 

(4) ধুমকেতু (Comet) কাকে বলে?

ধুমকেতু (Comet) : পানি, এমমানিয়া ও মিথেন গ্যাস কোনাে নিরেট ক্ষুদ্র শিলাখণ্ডের উপর জমে তৈরি হয় ধূমকেতু। এর একটি মাথা ও লেজ আছে বলে মনে হয় । সূর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ঘােরর সময় এর সামনের দিকের পানি বাষ্পে পরিণত হয় এবং বিকিরণ চাপে এর সামনের দিকে স্ফীত (একটি মাথা) ও পিছনের দিকে সরু লেজের মতাে হয়ে যায়। দেখতে অনেকটা খাড়র মতাে দেখায়। এদের মধ্যে হেলির ধুমকে বিখ্যাত। এটা ৭৬ বছর পরপর একবার দেখা যায়। ধূমকেতুর মাথাটা শিলার মতাে ভারী বস্তু এবং পু

 

(5) উল্কা ( Meteors) বলতে কি বোঝায়

উল্কা ( Meteors) : অনেক সময় আকাশে ছােট আগুনের গোলা ছুটে যেতে দেখা যায়। মনে হয় যেন একটি তারা একস্থান থেকে ছুটে অন্যস্থানে যাচ্ছে। এরা আসলে নক্ষত্র বা তারা নয়। এদের বলা হয় উকা। অতিক্ষুদ্র গ্রহগত শিলা খণ্ড যখন পৃথিবীর কাছাকাছি এসে গেলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে প্রবল বেগে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে বায়ুর সাথে ঘর্ষণের ফলে উত্তপ্ত হয়ে জ্বলে ওঠে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠের পতনের পূর্বেই নিভে যায়। এদের উদ্ধা বলে।

 

নক্ষত্রসমূহ (Stars) বলতে কি বোঝায়?

নক্ষত্রসমূহ (Stars) : যেসব থ-পদার্থ সূর্যের ন্যায় নিজস্ব আলাে আছে এবং তা আলাে দেয় তাদের বলা হয় নক্ষত্র। পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র হলাে সূর্য। সৌরজগতের বাইরে অনেক দূরে দূরে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র রয়েছে। এদেরকে ক্ষুদ্র ও মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায় এর কারণ এরা পৃথিবীর অনেক অনেক দূরে। সূর্যের পর নিকটতম নক্ষত্র হলাে আলফা সেন্টুরি। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চার আলােক বর্ষ ।

See also  আইনস্টাইন কেন বলেছিলেন ঈশ্বর পাশা খেলে না?

গ্যালাক্সি (Galaxies) কি?

অনেকগুলাে নক্ষত্রের সমাবেশকে বলা হয় গ্যালাক্সি । আমরা যে গ্যালাক্সিতে বা ছায়াপথে বাস করি তার নাম আকাশ গঙ্গা (Milky way)। সূর্য ও খালি চোখে দৃশ্যমান সকল নক্ষত্র এই আকাশ গঙ্গা বা ছায়াপথে রয়েছে। এ ছায়াপথে প্রায় 10 সংখ্যক নক্ষত্র রয়েছে। এই ছায়াপথ ছাড়াও মহাবিশ্বে রয়েছে লক্ষ লক্ষ প্যালাক্সি। এদের খালি চোখে দেখা যায় না। এসব গ্যালাক্সির আকার ও আয়তন বিভিন্ন । কোনােটা উপবৃত্তাকার, কোনােটা সর্পিল। সবচেয়ে উজ্জ্বল কিছু কিছু গ্যালাক্সি উপবৃত্তাকার। অ্যানড্রোমে একটি গ্যালাক্সি যাকে খালি চোখে দেখা যায় না। আমাদের গ্যালাক্সি (ছায়াপথ) থেকে এর দূরত্ব 2 x 106 আলােকবর্ষ। সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়েও অনেক প্যালাক্সি দৃষ্টিগােচর হয় না।

গ্যালাক্সি প্রধানত দু প্রকার।

  1. স্বাভাবিক গ্যালাক্সি
  2. রেডিও গ্যালাক্সি

 

স্বাভাবিক গ্যালাক্সি কাকে বলে?

আমরা জানি যে, গ্যালাক্সি হলাে মহাবিশ্বের মৌলিক উপাদান। আমাদের ছায়াপথ ছাড়াও মহাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ গ্যালাক্সি রয়েছে। এদের বলা হয় স্বাভাবিক গ্যালাক্সি (Normal Galaxies)

 

স্বাভাবিক গ্যালাক্সি তিন প্রকার

  1. উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সি
  2. সর্পিল বা পেঁচানাে গ্যালাক্সি
  3. বিষ্ণুম গ্যালাক্সি।

 

উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সি : যে সব গ্যালাক্সি দেখতে উপবৃত্তাকার চাকতির মতাে তাদের বলা হয় উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সি। এগুলাে সাধারণত লােহিত দানব ও শ্বেত বামন নক্ষত্র নিয়ে গঠিত। গ্যালাক্সির শতকরা ১৮ ভাগ উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সি।

 

সর্পিল বা পেঁচানাে গ্যালাক্সি : অধিকাংশ স্বাভাবিক গ্যালাক্সি (প্রায় ৮০%) হলাে পেঁচানাে গ্যালাক্সি। আমাদের ছায়াপথ (Milky way) ও অ্যানড্রোমেডা এই ধরনের গ্যালাক্সি ।

 

বিষ্ণুম গ্যালাক্সি : এ ধরনের গ্যালাক্সির কোনাে নির্দিষ্ট আকার নেই। কনিষ্ঠ স্বাভাবিক গ্যালাক্সি হলাে বিষম গ্যালাক্সি। এরা মধ্যবয়সী। স্বাভাবিক গ্যালাক্সি শতকরা ২ ভাগ বিষম গ্যালাক্সি।

 

 

রেডিও গ্যালাক্সি কাকে বলে?

যেসব গ্যালাক্সি রেডিও কম্পাঙ্কের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ নিঃসরণ করে তাদের রেডিও গ্যালাক্সি বলে। মহাবিশ্বের সৃষ্টি

 

রেডিও গ্যালাক্সিকে দু ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. সাধারণ রেডিও গ্যালাক্সি
  2. কোয়াসার।

 

সাধারণ রেডিও গ্যালাক্সি : যে স্বাভাবিক আলােকীয় গ্যালাক্সির দুই পাশে দুটি প্রবল রেডিও উৎস রয়েছে, এদের সাধারণ রেডিও গ্যালাক্সি বলে। এটা দেখতে অনেকটা কোনাে ব্যক্তির মুখমণ্ডলের দুই পাশে দুটি কানের মতাে। রেডিও ক্ষমতা উৎপাদের (output) পাল্লা হলাে 100 থেকে 1038 ওয়াট। 

 

কোয়াসার (Quasar) : কোয়াসার হলাে আধা নাক্ষত্রিক (Quasi-stellar) রেডিও উৎস। এদের গঠন নক্ষত্রের ন্যায় এবং এরা ক্ষমতাশালী বেতার তরঙ্গ নিঃসরণ করে। এদের রেডিও উৎপাদ 1037 থেকে 1038 ওয়াট পাল্লার মধ্যে। কোয়াসার হলাে দূরবর্তী জ্ঞাত বস্তু। এরা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ আলােকবর্ষ দূরে। এরা যেন মহাবিশ্বের সীমানায় রয়েছে। এরা পৃথিবী থেকে 0.9C বেগে সরে যাচ্ছে। এদের আকার খুব ছােট। এরা অতি ঘন গ্যালাক্সি গঠন করে। এদের ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি এবং এদের মহাকর্ষ বলও অনেক বেশি। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি কোয়াসার শনাক্ত করা গেছে।

Related Articles

Back to top button