গ্রীন হাউস কাকে বলে ও গ্রিন হাউস অ্যাফেক্ট এবং প্রভাব নিয়ন্ত্রনের উপায়
গ্রিন হাউস গ্যাস কি, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক
গ্রিন হাউস অ্যাফেক্ট (Greenhouse effect) কাকে বলে?
শীতপ্রধান দেশে গ্রিন হাউসের (কাচ নির্মিত একটি ঘর) মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে সবুজ উদ্ভিদ জন্মানাে হয়। গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ শীতপ্রধান দেশের গ্রিন হাউস ঘরের ন্যায় সূর্য থেকে আগত রশ্মি তাপ বিকিরণে বাধা সৃষ্টি করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। গ্রিন হাউস গ্যাস কর্তৃক বায়ুমণ্ডলের এইরূপ তাপ বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে গ্রিন হাউস অ্যাফেক্ট (Greenhouse effect) বলে।
গ্রিন হাউস অ্যাফেক্ট কথাটি সর্বপ্রথম সােভানটে আরহেনিয়াস প্রথম ব্যবহার করেন। গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ হলাে-কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), মিথেন (CH), নাইট্রাস অক্সাইড (NO), ক্লোরােফ্লোরােকার্বন (CFC)।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান নিয়ামক হিসেবে নিয়ে গ্রিন হাউস গ্যাস ও গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে।
গ্রীন হাউজ নির্মাণে কেন কাঁচ বা সচ্ছ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়?
কাঁচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক আগত সূর্যরশ্মির ভাপ ঘরে প্রবেশ করতে দেয়, কিন্তু বাইরে বের হতে দেয় না। আগত তাপ প্রতিনিয়ত গ্রীন হাউজ এর দেয়ালে বাধাপ্রাপ্ত ও প্রতিফলিত হয়। ফলে বাইরের পরিবেশে তুলনায় ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে যা শীতপ্রধান দেশে উদ্ভিদ জন্মানাের ক্ষেত্রে যথেষ্ট।
শীতপ্রধান দেশের জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের গাছপালা ও শাকসবজি জন্মানাের উপযােগী নয়। তাই সেসব দেশে শীতকালেও গ্রীন হাউজ এর কৃত্রিম-উষ্ণ পরিবেশে শাকসবজি ও বিভিন্ন ফুল-ফলের চাষ করা হয়।ভিতরের সবুজ গাছপালার কারনেই এর নাম গ্রীন হাউস।
গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ Green House Gases
১। কার্বন ডাইঅক্সাইড (C02)
কার্বন ডাইঅক্সাইড বর্ণহীন, সামান্য গন্ধযুক্ত কার্বন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত একটি গ্যাস। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ০.০৩ শতাংশ কার্বন ডাইঅক্সাইড। জীবের প্রশ্বাসের সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে, উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহের পচন, মােটরযান ও শিল্প কারখানার জ্বালানি (কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, তৈল) পােড়ানাে থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে যােগ হয়। বর্তমানে তরল ও কঠিন কার্বন ডাইঅক্সাইড রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে আইসক্রিম, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
সবুজ উদ্ভিদ এর খাদ্য প্রস্তুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করলেও বন উজাড় বৃদ্ধি পাওয়ায়, অধিক হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার, মােটরযানের সংখ্যা প্রভৃতি বৃদ্ধির কারণে বায়ুমণ্ডলে বিশ্বব্যাপী কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে এবং বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করছে।
২। মিথেন (CH4)
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন। এছাড়াও জলাভূমিতে পানির নিচে পানা পচনের মাধ্যমে, ধানের বর্জ্য অবশিষ্টাংশের পচন থেকে মিথেন পাওয়া যায়। তাপ ধারণ ক্ষমতার ক্ষেত্রে মিথেন কার্বন ডাই অক্সাইডের চাইতে ২০ গুণ বেশি তাপ ধারণ করে।
৩। ক্লোরােফ্লোরাে কার্বন (CFC)
সিএফসি সাধারণত বিষমুক্ত,নিষ্ক্রিয় এবং ফ্লোরিন ও কার্বনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ। সিএফসি হিমায়নে (ফ্রিজ, এসি) ও স্প্রে-ক্যানে (অ্যারেসােল), মাইক্রো ইলেকট্রিক সার্কিট ও প্লাস্টিক ফোমে ব্যবহৃত হয়।
৪। নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)
অক্সিজেনের সাথে নাইট্রোজেন যুক্ত হয়ে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ তৈরি করে। এটিও বর্ণহীন, সামান্য মিষ্টিগন্ধযুক্ত। এই গ্যাসের উৎসসমূহ হলাে মােটরযান, শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ রাসায়নিক সার, কারখানা।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা Global Warming কাকে বলে?
বিশ্ব উষ্ণায়ন বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হলো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। পৃথীবির গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি যাওয়াকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।
এটিকে গ্রিন হাউসের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাসকে দায়ী করা হয়। এগুলো হলো কার্বনডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, মিথেন, ইত্যাদি হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য কারন।
গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া Green House Response
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্রমাগত বৃদ্ধি বৈশ্বিক পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে এবং বিশ্ব উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পরিবেশের যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তাকে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বলে।
নিম্নে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ায় অধিক প্রভাবিত হওয়া খাতসমূহ বর্ণনা করা হলাে
১। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা (Sea-Level)
গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসারণের কারণে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া ক্রমাগত চলতে থাকলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলশ্রুতিতে মেরু অঞ্চলের বরফ ও হিমবাহ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে । সমুদ্রের পানির উচ্চতা ১.৫ মিটারের অধিক হলে নিউইয়র্ক, লন্ডন, সিউল, বেইজিং এর মতাে উপকূলীয় শহর, দ্বীপরাষ্ট্রসমূহ যেমন মালদ্বীপ, টোকিও শহরসমূহ সহ উপকূলবর্তী অনেক এলাকা সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।
২। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন (Weather and Climate Change )
বৈশ্বিক পরিবেশের মােট তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণের তাপমণ্ডল ১০০-১৫০ কিলােমিটার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে সরে যাবে। এই কারণে আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানসমূহের (বৃষ্টিপাত, আদ্রতা, বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত) পরিবর্তনের কারণে মরুকরণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোচীন, মালয় উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষার প্রকোপ বাড়তে পারে। অপরদিকে শীতপ্রধান দেশ যেমন কানাডা, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় ঠান্ডার প্রকোপ এতাে বেশি থাকবে না।
৩। কৃষিশস্যের ক্ষতি (Damage of Agricultural Grains)
কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে শস্যজাত কৃষিপণ্য যেমন ধান ও সয়াবিন জাতীয় শস্যের উৎপাদন কমে যাবে।
৪। স্থলজ ও জলজ প্রাণি সম্পদ (Land and Aquatic Animal Resources)
ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে সহজে প্রবেশ করে। এতে স্থলজ ও জলজ প্রতিবেশ সংকটাপূর্ণ হয়। অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে এন্টার্কটিকার ফাইটোপ্লাংকটন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে, ফাইটোপ্লাংকটনের ওপর নির্ভরশীল ফুডচেইন হুমকির সম্মুক্ষীণ হবে।
৫। প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Natural Disaster)
গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়সমূহ (আইলা, আম্পান, সিডর) বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ ফল।
৬। জীববৈচিত্র্য (Biodiversity)
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবী থেকে বহুপ্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে এমন কী অনেক প্রজাতি বিশ্বব্যাপী হুমকিস্বরূপ।
গ্রীন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রনের উপায়
গ্রীন হাউস প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি হলাে নিম্নরূপ
ক) জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস: কলকারখানা, যানবাহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন। সবকিছুতেই জীবাশ্ম জ্বালানী জ্বালানাের পরিমান ক্রমশ যতটা পারা যায় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ যথাসম্ভব কমাতে সম্ভব হবে।
খ) রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাসঃ কৃষিতে নাইট্রোজেন সার (যেমন – ইউরিয়া) ব্যবহারের ফলে বাড়ছে নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ । অবিলম্বে কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের ব্যবহার যথাসম্ভব কমাতে হবে।
গ) মিথেন নির্গমনের পরিমাণ হ্রাসঃ গাছপালার পচন, কৃষিজ বর্জ্য এবং জীব। ভক্তদের বর্জ্য থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাসের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিথেনের এই সকল উৎসগুলিকে অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ঘ) অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিঃ অচিরাচরিত শক্তি বলতে বােঝায় যেসব শক্তির উৎস পুনর্নবীকরণ করা যাবে অর্থাৎ, ফুরিয়ে গেলেও আবার তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহারে বায়ুমন্ডলে গ্রীণ হাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত জীবাশ্ম আলানীর পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানী ব্যবহার করলে বায়ুমন্ডলে গ্রীণ হাউস গ্যাস (যেমন – কার্বন-ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ওজোন) এর পরিমাণ কমে আসবে।
ফলে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমে যাবে | সাম্প্রতিক কালে এই অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলাপ আলােচনা হচ্ছে। এই চিরাচরিত শক্তিগুলি হলাে – সৌর শক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ােগ্যাস, বায়ােডিজেল, জোয়ার-ভাটা শক্তি, ভূতাপীয় শক্তি, আবর্জনা থেকে প্রাপ্ত শক্তি, নিউক্লিয়ার এনার্জি প্রভৃতি।
৬) ই-ওয়েস্ট বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য আমদানী বন্ধঃ উন্নত বিশ্বের দেশগুলাে থেকে নানা ধরণের ই-ওয়েস্ট বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য আমদানী হচ্ছে আমাদের দেশে। এভাবে প্রতি হচ্ছে। এসব কম্পিউটারের অন্যতম ক্রেতা হলাে- চীন, ভারত ও বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি ।
অর্থাৎ, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলােকে পরােক্ষভাবে উন্নত দেশগুলাের ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের আস্তাকুডে পরিণত করা হচ্ছে। এই সব ই-বর্জ্যের মধ্যে হাজার হাজার টন সীসাসহ রয়েছে আরও বহু বিষাক্ত উপাদান যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসছে। এসব দূষিত বর্জ্য পদার্থ বিভিন্নভাবে গ্রীন হাউস প্রভাব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সরাসরি কৃষি সম্পদ, মৎস্যসম্পদ, বনজ সম্পদ বিনষ্টেরও অন্যতম কারণ।
জ) পরিবেশ রক্ষাসংক্রান্ত চুক্তিগুলির দ্রুত বাস্তব রূপায়ণঃ বিশ্বে ক্রমবর্ধমান গ্রীন হাউস প্রভাব নিয়ে চুক্তিগুলির দ্রুত বাস্তব রূপায়ণ খুবই দরকার। কেবলমাত্র আলাপআলােচনা নয়, দরকার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির দ্রুত ও বাস্তব রূপায়ণ।
ঝ) বিকল্প ও পরিবেশবান্ধব দ্রব্য ব্যবহারঃ গ্রীন হাউস গ্রভাৰ সৃষ্টিকারী। উপাদানগুলির বিকল্প ও পরিবেশবান্ধব দ্রব্য ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে।
ঞ) নাগরিক দায়িত্বঃ পরিবেশ রক্ষা নাগরিকদের মৌলিক দায়িত্ব। তাই গ্রীন হাউস। প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদানগুলি যাতে পরিবেশে কম পরিমানে উৎপাদিত হয়, সে বিষয়ে সকলকেই দায়িত্বশীল হতে হবে।
চ) নতুন প্রযুক্তিঃ গ্রীন হাউস প্রভাব প্রতিরােধের চুড়ান্ত উত্তর হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত উপাদান পরিবর্তন, যানবাহনের দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন-ডাইঅক্সাইড পৃথকীকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রভৃতিসহ বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়ােগ করতে হবে।